টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কী করবেন

টাইপ ২ ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুললে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।

অনেক মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন করে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে সক্ষম হন। তবে, এটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত। তাই, যদি আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিস নির্ধারিত হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। চিকিৎসক আলোচনার মাধ্যমে আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।

সাধারণত, চিকিৎসক আপনার সঙ্গে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। এই বিষয়গুলো আপনার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, যদি প্রথম সাক্ষাতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা না হয়, তবে ফলো-আপ মিটিংয়ে এগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করুন:

  1. রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপায়।
  2. সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং খাদ্যতালিকা
  3. শারীরিক ব্যায়াম এবং সক্রিয় জীবনযাপন।
  4. ওষুধ গ্রহণের নিয়ম এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
  5. রক্তে চিনির মাত্রা পরীক্ষার পদ্ধতি এবং কিভাবে এটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন।
  6. ডায়াবেটিসজনিত জটিলতার ঝুঁকি এবং তা প্রতিরোধের উপায়।

Table of Contents

ওজন কমানো

সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) অনুযায়ী1 , কারও উচ্চতার তুলনায় বেশি ওজন থাকাকে অতিরিক্ত ওজন (ওভারওয়েট) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

অনেক সময় টাইপ ২ ডায়াবেটিস নির্ধারণ হওয়া ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ওজন থাকে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক সাধারণত ওজন কমানোর পরামর্শ দেন, যা একটি সামগ্রিক চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ। ৫-১০%2  শরীরের ওজন কমালে রক্তে চিনির মাত্রা কমতে পারে এবং ডায়াবেটিসের ওষুধের প্রয়োজনীয়তাও কমে যেতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, ওজন কমানোর মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সাধারণত বেশি থাকে।

চিকিৎসকের সুপারিশ

প্রতিদিনের খাবার ও স্ন্যাকস থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি কমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম ওজন কমাতে সহায়ক। চিকিৎসক এক্ষেত্রে হাঁটা, সাইক্লিং বা অন্য ব্যায়ামের পরামর্শ দিতে পারেন।

ওজন কমানোর জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ধৈর্য ও নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

রক্তে চিনির মাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিতে পারেন। একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো খাদ্য পরিকল্পনা নেই, তবে সাধারণভাবে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন (ADA) নিম্নলিখিত সুপারিশ করে3 :

  • সম্পূর্ণ শস্য, সবজি, ফলমূল, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাবেন।
  • প্রতিদিন খাবার সমানভাবে ভাগ করে খান।
  • বিশেষ করে এমন ওষুধ নিলে যা রক্তে চিনির মাত্রা খুব কমিয়ে দিতে পারে।
  • পরিমিত খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

যদি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি আপনাকে একজন নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ (ডায়েটিশিয়ান)-এর কাছে পাঠাতে পারেন, যিনি আপনার জন্য একটি খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করবেন।

পড়ুন: টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সেরা খাদ্যাভ্যাস পরিকল্পনা

শারীরিক ব্যায়াম

রক্তে চিনির মাত্রা, ওজন এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসজনিত জটিলতার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসক আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম বাড়ানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

ADA-এর সুপারিশ অনুযায়ী:

সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার এ্যারোবিক ব্যায়াম করুন এবং তা একাধিক দিনে ভাগ করে নিন।

  • সপ্তাহে ২-৩ দিন শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম (রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং) করুন, কিন্তু ধারাবাহিক দিনগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার অভ্যাস কমান।
  • টানা দুই দিনের বেশি ব্যায়ামহীন থাকবেন না।

আপনার স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক ভিন্ন শারীরিক কার্যক্রমের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। কখনও কখনও কিছু কার্যক্রম এড়ানোর পরামর্শও দিতে পারেন।

আপনার জন্য নিরাপদ একটি ব্যায়াম পরিকল্পনা তৈরি করতে, চিকিৎসক আপনাকে একজন শারীরিক থেরাপিস্টের কাছে পাঠাতে পারেন।

সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যক্রমে এই পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত কার্যকর।

ওষুধ

জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, অনেক টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীকে ওষুধের সাহায্য নিতে হয়।

আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী, চিকিৎসক নিম্নলিখিত ওষুধগুলোর মধ্যে একটি বা একাধিক পরামর্শ দিতে পারেন:

  • মুখে খাওয়ার ওষুধ সাধারণত প্রথম ধাপে ব্যবহৃত হয়।
  • এটি ইনজেকশন বা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • GLP-1 রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট বা অ্যামাইলিন অ্যানালগ।

সাধারণত চিকিৎসক শুরুতে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে প্রয়োজন হলে ইনসুলিন বা অন্যান্য ইনজেকশনের ওষুধ চিকিৎসা পরিকল্পনায় যোগ করা হতে পারে।

ওষুধ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি বিভিন্ন ওষুধের সুবিধা ও ঝুঁকি ব্যাখ্যা করে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।

রক্তে চিনির পরীক্ষা

ডায়াবেটিস চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রক্তে চিনির মাত্রা নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখা।

রক্তে চিনির মাত্রা খুব কমে গেলে বা খুব বেশি বাড়লে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

চিকিৎসকের সুপারিশ অনুযায়ী:

  1. পর্যবেক্ষণ:
    • চিকিৎসক নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করার নির্দেশ দিতে পারেন।
    • এ1সি (A1C) নামক একটি পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার গড় রক্তে চিনির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
  2. বাড়িতে রক্ত পরীক্ষা:
    • নিজের বাড়িতে রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শও দিতে পারেন চিকিৎসক।
    • এজন্য ফিঙ্গার প্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
    • আপনি একটি কন্টিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটর (CGM)-এও বিনিয়োগ করতে পারেন, যা ত্বকের নিচে একটি ছোট সেন্সরের মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা নিরবিচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করে।

রক্তে চিনির নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ

নিচে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের নতুন নির্ধারিত চিকিৎসা সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

১. নতুন নির্ধারিত ডায়াবেটিসের প্রথম ধাপের চিকিৎসা কী?

টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসার জন্য আপনাকে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হতে পারে বা ওষুধ খেতে হতে পারে। তবে চিকিৎসক প্রথমে ডায়াবেটিস-বান্ধব খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ এবং বেশি শরীরচর্চার পরামর্শ দিতে পারেন। বিশেষ করে, অতিরিক্ত ওজন থাকলে ওজন কমানোর মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিরাময়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে।

২. ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়?

ডায়াবেটিস হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ সমস্যা হলো:

  • বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া
  • হৃদরোগ এবং স্ট্রোক
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণা এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করা
  • অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করা
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা
  • দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
  • কাটাছেঁড়া বা ক্ষত সঠিকভাবে না শুকানো
  • ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যাওয়া
  • স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সংক্রমণ হওয়া

৩. ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত?

ডায়াবেটিস নির্ণয় বা নিয়ন্ত্রণের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। সাধারণত রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা নির্ভর করে আপনি খাওয়ার আগে বা পরে পরীক্ষা করছেন কিনা। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে নিচে রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা উল্লেখ করা হলো:

খালি পেটে (ফাস্টিং ব্লাড সুগার)
  • স্বাভাবিক মাত্রা: ৭০-১০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (mg/dL)
  • প্রিডায়াবেটিস: ১০০-১২৫ mg/dL
  • ডায়াবেটিস: ১২৬ mg/dL বা তার বেশি (দুইবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়)
খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর (পোস্ট প্রান্ডিয়াল ব্লাড সুগার)
  • স্বাভাবিক মাত্রা: ১৪০ mg/dL-এর কম
  • প্রিডায়াবেটিস: ১৪০-১৯৯ mg/dL
  • ডায়াবেটিস: ২০০ mg/dL বা তার বেশি
গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন (HbA1c)
  • স্বাভাবিক মাত্রা: ৫.৭% এর কম
  • প্রিডায়াবেটিস: ৫.৭% – ৬.৪%
  • ডায়াবেটিস: ৬.৫% বা তার বেশি
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে স্বাভাবিক মাত্রা (গর্ভবতী নারীদের জন্য)
  • খালি পেটে: ৯৫ mg/dL-এর কম
  • খাওয়ার এক ঘণ্টা পর: ১৪০ mg/dL-এর কম
  • খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর: ১২০ mg/dL-এর কম

৪. ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

রক্তে গ্লুকোজ ফাস্টিং ২০০ মিগ্রা/ডেসিলিটার বা খাবারের পর ৩০০ মিগ্রা/ডেসিলিটার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ইনসুলিন নিতে হয়।

৫. ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

ডায়াবেটিস নিজে থেকে মৃত্যু ঘটায় না, তবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতি বেশি বৃদ্ধি (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) বা অতি কম হয়ে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) জীবন সংকট তৈরি করতে পারে। সাধারণত:

  1. হাইপারগ্লাইসেমিয়া: রক্তে গ্লুকোজ ৬০০ মিগ্রা/ডেসিলিটার-এর বেশি হলে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস (DKA) বা হাইপারগ্লাইসেমিক হাইপারঅসমোলার স্টেট (HHS) হতে পারে, যা প্রাণঘাতী।
  2. হাইপোগ্লাইসেমিয়া: রক্তে গ্লুকোজ ৪০ মিগ্রা/ডেসিলিটার-এর নিচে নেমে গেলে অজ্ঞান, খিঁচুনি, বা মৃত্যুও হতে পারে।

প্রত্যেক পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

৬. কি খেলে ডায়াবে টিস দ্রুত কমে?

ডায়াবেটিস দ্রুত কমানোর কোনও ম্যাজিক খাবার নেই, তবে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিম্নলিখিত খাবারগুলো সহায়ক:

  •  শাকসবজি: পালং শাক, ঢেঁড়স, ব্রকলি।
  •  প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মাছ, মুরগির মাংস।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: চিঁড়া, ওটস, ছোলা।
  •  লো গ্লাইসেমিক ফ্রুটস: আপেল, বেরি, পেয়ারা।
  • মশলা: দারুচিনি, মেথি।

এগুলো খাওয়ার পাশাপাশি শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি

সাহায্য ও সমর্থন

টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা হলেও, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কাছের মানুষদের সমর্থন রোগীর মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মূল কথা

টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের রুটিন এবং জীবনযাত্রার অন্যান্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিতে পারেন। এছাড়া, এক বা একাধিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। চিকিৎসক নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা করার জন্য নির্ধারিত সময়ে চেকআপ করতে বলবেন।

যদি আপনার উপসর্গে পরিবর্তন হয় বা রক্তে চিনির মাত্রায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন, তাহলে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, এবং আপনার চিকিৎসার পরিকল্পনাও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

নিয়মিত চিকিৎসা এবং সঠিক জীবনযাপন অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

Author

তথ্যসূত্র:
  1. https://www.cdc.gov/obesity/basics/adult-defining.html[]
  2. https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC10990987/[]
  3. https://diabetes.org/living-with-diabetes/newly-diagnosed[]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *